Skip to content

চট্টগ্রামসিটি কর্পোরেশন (সিসিসি), ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং ইপসা চট্টগ্রামে প্লাস্টিক সার্কুলারিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে

Published:

Average read time: 3 minutes

দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য কোম্পানি (এফএমসিজি) ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) আজ চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন (সিসিসি) এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল এ্যাকশন (ইপসা)-এর সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্লাস্টিক সার্কুলারিটি বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের র‌্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ’তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।

৩জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ল্যান্ডফিলে কাজ করছেন

হালকা ও সাশ্রয়ী প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল হিসেবে ভোক্তাদের কাছে পণ্য সহজ ভাবে পৌঁছে দেবার জন্য প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই ব্যবহারের প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে প্লাস্টিক দূষণ দিন দিন বাড়ায় উদ্বেগের জায়গা তৈরি হয়েছে। তাই টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে প্লাস্টিককে একটি সঠিক শৃঙ্খলে বা ‘লুপ’-এর মধ্যে রাখা জরুরি।

ইউনিলিভারের গ্লোবাল কমিটমেন্টের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ দেশের প্লাস্টিক বর্জ্য ইস্যুতে পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি নারায়ণঞ্জে বিস্তৃত পরিসরে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে তা ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিস্তৃত করা হয়।

ইপসা এর সঙ্গে পার্টনারশিপে ইউনিলিভার বাংলাদেশ ২০২২ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ শুরু করে, যেটির লক্ষ্য ছিল অনানুষ্ঠানিক ভ্যালু চেইন এর পরিধি ও প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ বৃদ্ধি করা। ১২ মাসের পাইলট কার্যক্রমে ৭,০০০ টনের অধিক প্লাস্টিক বর্জ সংগ্রহ করা হয়, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয় ২ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য, এবং সংগ্রহ করা ১০০% ভাগ প্লাস্টিকই প্রসেস করা হয়।

এই অভিজ্ঞতা থেকে কার্যক্রমটি আগামী বছরগুলোতেও চালু রাখা হবে। এই ‘এমওইউ’ এর অধীনে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং ইপসা চট্টগ্রামের ১০% প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করেছে। এতে ৫০০০ বর্জ্য সংগ্রহাকারী কর্মীর জীবনমান উন্নয়নের কাজ করা হবে, নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হবে, এবং চট্টগ্রামে অনানুষ্ঠানিক ভ্যালু চেইন আনুষ্ঠানিক ভ্যালুচেইনে যুক্ত হবে।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের সিইও এবং এমডি জাভেদ আখতার বলেন, “ইউনিলিভারে আমরা আমাদের মাল্টিস্টেকহোল্ডার মডেলের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছি এবং কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে আমরা ভ্যালু চেইনের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করে যাচ্ছি। যদিও আমরা এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে আমরা চট্টগ্রাম থেকে ৭,০০০ টনেরও বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছি এবং সংগৃহীত প্লাস্টিক বর্জ্যের ১০০% প্রসেসিং নিশ্চিত করেছি, তবে এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক প্লাস্টিক দূষণ উন্নতির জন্য যথেষ্ট নয়। তাই আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ইপসা-এর সঙ্গে অংশীদারীত্ব গড়ে তুলেছি, যাতে আমরা আমাদের ’ইকোনোমিস অব স্কেল’ অর্জনের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করতে পারি।

“আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়া ইপসার সিইও আরিফুর রহমানের নেতৃত্ব ও সমর্থনের জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা এমন একটি যাত্রা শুরু করেছি যা আগামী প্রজন্মের জন্য আরও উন্নত এবং টেকসই বিশ্ব তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়। আমার বিশ্বাস আমাদের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা চট্টগ্রাম শহরের প্লাষ্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইম্প্রুভ করতে পারব।“

ইয়ংপাওয়ার ইন এ্যাকশন (ইপসা) এর সিইও আরিফুর রহমান বলেন, “ইপসা চট্টগ্রামে তার যাত্রা শুরু করেছিল এবং তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এই শহরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।সময়ের সাথে সাথে শহরটির উন্নয়ন হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একই হারে বাড়েনি। ফলশ্রুতিতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও সামুদ্রিক বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে। এই কারণে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করা আমাদের জন্য খুবই তাৎর্পযপূর্ণ।

“আমাদের শহরের পরিবেশ রক্ষায় এবং সাসটেইনেবল প্র্যাকটিস চর্চায় এই উদ্যোগ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রাম শহরের পরিবেশ রক্ষা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত কর্তব্য। আসুন আমরা এই মহৎ উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ও টেকসই চট্টগ্রাম শহর গড়ে তুলি।"

Back to top