Skip to content

আমরা ইউনিলিভার

১০০ বছরেরও বেশি ঐতিহ্য নিয়ে আমরা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কনজিউমার গুডস কোম্পানি। বিশ্বজুড়ে আমরা আমাদের সেরা ব্র্যান্ডগুলির পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল উপায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জনের কৌশলের কারণে সুপরিচিত।

A diverse group of people sitting on blocks

বৈশ্বিক বিস্তৃতি

আরও তথ্যের জন্য বিনিয়োগকারী পেজটি ভিজিট করুন

  • ১৯০টি দেশেআমাদের পণ্য বিক্রি হয়
  • ৪৪ লক্ষদোকানে ১০টি উদীয়মান অর্থনীতির দেশে ডিস্ট্রিবিউটরদের সহযোগিতায় আমরা পণ্য পৌঁছে দেই
  • ৫৯.৬ বিলিয়ন ইউরো টার্নওভার ২০২৩ সালেযার ৫৮% আসছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলি থেকে

আইকনিক গ্লোবাল ও লোকাল ব্র্যান্ড

আরও জানতে আমাদের ব্র্যান্ডগুলি দেখুন

  • ৩.৪ বিলিয়নমানুষ প্রতিদিন আমাদের পণ্য ব্যবহার করে
  • ~৭৫% টার্নওভার৩০টি পাওয়ার ব্র্যান্ড থেকে
  • €৮.৬ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং এ

অনুপ্রাণিত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ মানবসম্পদ

আমাদের ক্যারিয়ার সাইট ভিজিট করুন

  • ১২৮,০০০ মানুষ বিশ্বব্যাপী ইউনিলিভারে সরাসরি কর্মরত
  • ৮৪%এনগেজমেন্ট স্কোরএমপ্লইয়ি সার্ভে ইউনি ভয়েজে
  • ৫৫%নারীসারা বিশ্বে আমাদের ম্যানেজার দের

ডিজিটাল ও টেকনোলজি নির্ভর অপারেশন

  • ৫৭,০০০সাপ্লায়ার ১৫০টি দেশ থেকে
  • ২৮০+ ফ্যাক্টরিইউনিলিভার দ্বারা পরিচালিত
  • ২৩ মিলিয়ন কাস্টমার অর্ডার পূরণ

বিশেষায়িত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইউনিলিভারে উদ্ভাবন সম্পর্কে আরও জানুন

  • €৯৪৯ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ গবেষণা ও উন্নয়নে
  • ২০,০০০+পেটেন্ট দ্বারা আমাদের আবিষ্কার ও যুগান্তকারী উদ্ভাবনগুলি সুরক্ষিত
  • €১.৮ বিলিয়ন ইউরো ইঙ্ক্রিমেন্টাল টার্নওভারউদ্ভাবন থেকে

সাসটেইনেবিলিটি বিষয়ে গভীর দক্ষতা

সাসটেইনেবিলিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

  • AAA- রেটিংসিডিপি ফরেস্ট, ওয়াটার ও ক্লাইমেট ২০২৩-এ
  • ৭৪% গ্রিন হাউসগ্যাস নিঃসরণ হ্রাস
  • ১.৯ মিলিয়ন এসএমইব্যবসা প্রবৃদ্ধির জন্য আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে
Group photo of UBL's Leadership Team

আমাদের লিডারশিপ

আমাদের লিডারশিপ টিম ব্যবসার স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ, কোম্পানি পরিচালনা ও আমাদের কর্মীদের নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্ট কমিটি সম্পর্কে জানুন।

বাংলাদেশের সাথে বেড়ে ওঠা - ইউবিএলের পথচলা

ছয় দশকের বেশি সময়ের ঐতিহ্য নিয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) দেশের অন্যতম শীর্ষ ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) বা ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি । বাংলাদেশের প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে ৯টি পরিবার প্রতিদিন আমাদের কোনো না কোনো ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করে। রিন, হুইল, লাক্স, লাইফবয়, গ্লো এন্ড লাভলি, সানসিল্ক, পেপসোডেন্ট সহ জনপ্রিয় ২২টি ব্র্যান্ড নিয়ে আমরা দেশজুড়ে কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। ব্যবসার প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে আমরা মানুষের জীবনযাত্রায় টেকসই উন্নয়নকে সহজ ও স্বভাবজাত করতে চাই। পরিবেশ সংরক্ষণ আর সমাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রেখে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার গর্বিত সহযাত্রী, কারণ আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষের জন্য যা ভালো, ইউনিলিভারের জন্যও তাই ভালো।

পথচলার শুরু

ইউবিএলের পথচলা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন আর সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯ শতকের শুরুর দিকে যখন পরিচ্ছন্নতা আর সুস্বাস্থ্যের অঙ্গীকার নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে উপমহাদেশে প্রথম আমাদের পণ্যবাহী জাহাজ এসে পৌঁছে, তখন থেকেই এই অঞ্চলের মানুষের ঘরে-ঘরে আমাদের ব্র্যান্ডের পণ্যগুলি জায়গা করে নেওয়া শুরু করে। ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে একটি সাবান তৈরির ফ্যাক্টরি নির্মাণ শুরু করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে লাল-সবুজের এই দেশে ইউনিলিভারের পথচলা শুরু হয়। যুক্তরাজ্যে থেকে যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭৩ সাল থেকে ব্যবসা পরিচালনায় বাংলাদেশ সরকারের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ইউবিএলের ৩৯.২৫% শেয়ারের মালিকানা দেশের জনগণের।

নতুন নতুন পণ্য নিয়ে দেশজুড়ে বিকাশ আর বিস্তৃতি

চট্টগ্রামের মাত্র একজন ডিস্ট্রিবিউটর এর সাথে কাজ শুরু করে ইউনিলিভার সত্তরের দশক শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশের সকল জেলায় পৌঁছে যায়। সাবান ব্যবসায় সাফল্যের পথ ধরে ইউবিএল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার চাহিদা মেটাতে হেয়ার কেয়ার, হোমকেয়ার, স্কিন কেয়ার ও ওয়াটার পিউরিফিকেশনের মতো নতুন ক্যাটাগরির পণ্য নিয়ে আসে। ইউনিলিভার বাংলাদেশ পার্সোনাল প্রোডাক্ট (পিপি) ফ্যাক্টরি স্থাপন করে এবং এর ফলশ্রুতিতে বেশিরভাগ পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট, যেমন শ্যাম্পু, টুথপেস্ট ইত্যাদি, যা আগে আমদানি করা হতো, সেসব দেশেই উৎপাদিত হতে থাকে। বর্তমানে আমাদের পণ্যের স্থানীয় চাহিদার ৯০% এরও বেশি পণ্য দেশেই উৎপাদিত হয়।

বর্তমানে ইউবিএল প্রায় ১৩ লক্ষ খুচরা বিক্রেতাদের এক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ দেশের সর্বত্র সাফল্যের সাথে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।

টেকসই জীবনযাত্রার সংকল্প

বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর সময় থেকেই দেশের সমাজ ও পরিবেশের উন্নয়নে অবদান রাখার অঙ্গীকার আমাদের কার্যক্রমের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। আমাদের এই প্রচেষ্টাগুলো ২০১০ সালে বৈশ্বিক ইউনিলিভার সাসটেইননেবল লিভিং প্ল্যান (ইউএসএলপি) ঘোষিত হবার পর একটি সুনিদৃষ্ট কাঠামোর আওতায় আসে। ইউএসএলপির মাধ্যমে আমাদের ব্যবসায়িক লক্ষ্য ও কার্যক্রমকে বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়। ইউএসএলপি বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের কার্যক্রমকে আরো পরিমার্জিত ও পরিবর্ধন করে পরবর্তীতে ২০২০ সালে আমাদের বৈশ্বিক স্ট্রাটেজি হিসেবে ‘ইউনিলিভার কম্পাস’ প্রকাশ করি।

২০২৩ সালে আমরা কম্পাসকে পরিমার্জিত করে আমাদের নতুন স্ট্র্যাটেজি গ্রোথ অ্যাকশন প্ল্যান (গ্যাপ) ঘোষণা করি। গ্যাপের মাধ্যমে আমরা তিনটি মূল লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি। আমাদের এই তিনটি লক্ষ্য হচ্ছে উচ্চমান সম্পন্ন প্রবৃদ্ধি, সক্ষমতার সহজীকরন ও উন্নয়ন এবং আরও ফলাফল নির্ভর প্রক্রিয়া ও সংস্কৃতি বাস্তবায়ন করা। আমরা বিশ্বাস করি যে এই লক্ষ্যগুলি অর্জনে আমাদের আরও অনেক কিছু করবার আছে। এই লক্ষ্যগুলি অর্জনে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও আমরা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে, জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে ইউনিলিভারকে ধারাবাহিকভাবে আরও সফল একটি ব্যবসা হিসেবে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করছি। আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের প্রতিটি পর্যায়ে সাসটেইনেবিলিটি অন্তর্ভুক্ত করবার মাধ্যমে আমরা সবার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়বার পাশাপাশি পিপল (মানুষ) আর প্লানেট (পরিবেশ) কে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক নীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে চাই।

টেকসই ভবিষ্যতের প্রত্যয়

বাংলাদেশে সাসটেইনেবল ম্যানুফ্যাকচারিং এর পথিকৃৎ হিসেবে ইউবিএল ধারাবাহিকভাবে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে কাজ করে আসছে। আমাদের আরও একটি লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন শহরে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসে ভুমিকা রাখা। এই প্রতিশ্রুতি পূরণে আমরা ২০২৩ সাল থেকে আমাদের পণ্যের প্যাকেজিং এ যে পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে, তার থেকে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ থেকে সংগ্রহ ও প্রসেস নিশ্চিত করছি। ২০২০ সাল থেকে আমাদের নেওয়া টেকসই উদ্যোগগুলি বাংলাদেশের ১০ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনে অবদান রেখেছে এবং এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গর্বিত সহযোগী হিসেবে দেশের মানুষের জন্য আমরা অবদান রাখছি।

আমাদের স্ট্র্যাটেজি এবং গ্রোথ অ্যাকশন প্লান

সবার জন্য টেকসই জীরনযাত্রা সহজ আর স্বভাবজাত করাই আমাদের পারপাস

আমরা বিশ্বাস করি যে আগামীতে সেই সকল ব্যবসাই এগিয়ে থাকবে যারা বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তনগুলো ধারণা করতে পারবে ও সেই পরিবর্তন অনুযায়ী সাড়া দিতে পারবে।

আমরা আরও নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি যে এখনই সঠিক সময় আমাদের টেকসই প্রচেষ্টার প্রতি মনোনিবেশ করার। আমরা চারটি মূল বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের টেকসই প্রচেষ্টার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি যেখানে আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণে প্রভাব বিস্তার করতে পারবঃ জলবায়ু, পরিবেশ, প্লাস্টিক ও জীবনযাত্রা।

কাজের ক্ষেত্র ও পরিসরঃ

আর্থিক ফলাফলের দিক থেকে ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করবার মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যবসায়িক মডেলের ধারাবাহিকতা আর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রদর্শন করব।

  • আমরা একটি ধারাবাহিকভাবে বিকাশমান পোর্টফলিও নির্মাণ করব
  • আমরা আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর অভাবনীয় শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে বিজয়ী হবো
  • আমরা আমাদের মূল মার্কেট ও ক্যাটাগরিগুলির উন্নয়ন তরান্বিত করব
  • আমরা মূল বিক্রয় চ্যানেলগুলিতে নেতৃত্ব দেব

ব্যবসায়িক কৌশল

আমাদের ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ রূপে উন্মক্ত ও তরান্বিত করতে আমরা গ্রোথ অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছি। এটি দ্রুত প্রবৃদ্ধি, কার্যকারিতা ও সরলীকরণ, এবং আমাদের পারফর্ম্যান্স কালচারকে আরও উন্নত করার একটি রূপরেখা।

আমাদের স্ট্র্যাটেজি ও গ্রোথ অ্যাকশন প্ল্যানের পিডিএফ ডাউনলোড করুন (PDF 106.8 KB)


Back to top