প্লাস্টিক শিল্পের ভ্যালু চেইনের ২৫০টিরও বেশি ব্যবসা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের নিয়ে গঠিত গ্লোবাল প্লাস্টিক ট্রিটি বিজনেস কোয়ালিশন আজ "প্রাইমারি প্লাস্টিক পলিমার ইস্যুতে ব্রিজ টু বুসান ঘোষণা" তে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি প্লাস্টিকের পুরো জীবনচক্র নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যতামূলক পন্থার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরে।
দুই বছর আগে প্রকাশিত বিজনেস কোয়ালিশনের ভিশন বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এমন প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার কমানো জরুরি, যা বেশি দূষণ ছড়ায়, যেই প্লাস্টিকের ব্যবহারের মেয়াদ দ্রুত ফুরিয়ে যায় এবং যেই প্লাস্টিক মূলত জীবাশ্ম-ভিত্তিক কাঁচামাল থেকে তৈরি হয়। এই লক্ষ্য অর্জনে একটি সার্কুলার অর্থনীতির মডেলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিজনেস কোয়ালিশন বিজ্ঞানসম্মত লক্ষ্য ও পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য আগ্রহী। কিন্তু, তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে প্লাস্টিক চুক্তির আওতায় প্লাস্টিক উৎপাদনকে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।এর ফলে ভবিষ্যতে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (সিওপি) এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং সরকারগুলো সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে পারবে।
প্লাস্টিক পলিমার উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক উদ্যোগ
বিজনেস কোয়ালিশনের বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তির রোডম্যাপ ("ট্রিটি অন এ পেজ (PDF 60 KB)") অনুযায়ী, সদস্যরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে তারা প্রাইমারি প্লাস্টিক পলিমারের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে, যেমনঃ
- চুক্তির অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি পক্ষকে তাদের দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পলিমারের প্রকার ও পরিমাণ সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করতে হবে। এই প্রতিবেদনে, ব্যবহৃত কাঁচামালের উৎস সম্পর্কিত তথ্যও থাকতে হবে।
- সকল সরকারকে তাদের জাতীয় নীতিমালায় ধারাবাহিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। যাতে করে প্লাস্টিকের টেকসই ব্যবহার ও উৎপাদন, নিরাপদ সার্কুলার অর্থনৈতিক পদ্ধতির প্রবর্তন, এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা যায়।
- প্লাস্টিক চুক্তিতে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (সিওপি)-কে একটি বৈশ্বিক পরিমাপযোগ্য ও গুণগত লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া উচিত। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের উদ্যোগকে সময়ের সাথে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে, যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য—প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, পুনর্ব্যবহার, প্রতিরোধ, এবং দূষণ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
- জাতীয় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, চুক্তিটি অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও নিয়ম তৈরি করতে সাহায্য করবে। এর ফলে প্লাস্টিক ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি পুনর্ব্যবহারের জন্য একটি সার্কুলার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হবে।
বিজনেস কোয়ালিশনের জন্য বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ব্যবসাগুলোর একটি তালিকা।
শেষ এবং পঞ্চম আলোচনা পর্বের আগে চুক্তিটি নিয়ে বিজনেস কোয়ালিশনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
বিজনেস কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে এই আর্টিকেলটির একটি ভার্সন ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।