Skip to content

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গ্রীন এনার্জির ভূমিকা

Published:

বাংলাদেশে আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং অপারেশন থেকেই বড় অংশের কার্বন নিঃসরণ হয়, যেখানে কেজিএফ পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দেশের অন্যতম লিগ্যাসি ফ্যাক্টরি হিসেবে, এটি গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে এবং সাসটেইনেবল ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস চালু করার জন্য স্বীকৃত। ২০১০ সালে কেজিএফে প্রথম সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। আমাদের কার্যক্রম কার্বন নিঃসরণমুক্ত করতে এবং গ্রীন প্রযুক্তিতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কালুরঘাট ফ্যাক্টরিতে ছোট আকারের সোলার প্যানেল

জলবায়ু পরিবর্তন এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, আর অতিরিক্ত মাত্রায় এনার্জির ব্যবহার এর অন্যতম প্রধান কারণ। বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদনের জন্য ফসিল ফুয়েলের (যেমন কয়লা, তেল ও গ্যাস) উপর নির্ভরতা আমাদের গ্রিনহাউস গ্যাস এমিশনের প্রধান উৎস। ইউনিলিভারের ক্লাইমেট ট্রাঞ্জিশন অ্যাকশান প্ল্যান (সিটিএপি) অনুযায়ী, আমরা বিশ্বব্যাপী আমাদের এনার্জির সোর্স পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি, এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রথম স্থাপনা, কালুরঘাট ফ্যাক্টরিও (কেজিএফ) এই পরিবর্তনের অংশ।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ

ফসিল ফুয়েল বিশ্বব্যাপী ৭৫% এর বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস এবং প্রায় ৯০% কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের জন্য দায়ী। গবেষণা অনুযায়ী, জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে হলে আমাদের ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার কমিয়ে রিনিউয়েবল এনার্জির দিকে অগ্রসর হতে হবে। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বণ নিঃসরণ ৫০% কমানোর আহ্বান জানিয়েছে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নির্গমন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন সাশ্রয়ী, টেকসই ও রিনিউএবল এনার্জির উপর বিনিয়োগ।

২০১৫ সালকে বেইসলাইন ধরে ইউনিলিভার তার ক্লাইমেট ট্রাঞ্জিশন অ্যাকশান প্লান (সিটিএপি) এর আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী স্কোপ ১ ও স্কোপ ২ নির্গমন ১০০% কমানোর লক্ষ্য নিয়েছে। এর জন্য আমরা সাপ্লাই চেইনে রিনিউএবল এনার্জির ব্যবহার বাড়াচ্ছি এবং উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এনার্জি সাশ্রয় নিশ্চিত করছি, যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

কালুরঘাট ফ্যাক্টরিতে এমপ্লয়ীদের মাঝে আলোচনা

গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজি, লোকাল অ্যাকশন

বাংলাদেশে আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং অপারেশন থেকেই বড় অংশের কার্বন নিঃসরণ হয়, যেখানে কেজিএফ পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গত ছয় দশক ধরে, কেজিএফ ইউনিলিভারের ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সেলেন্সের প্রতীক। দেশের অন্যতম লিগ্যাসি ফ্যাক্টরি হিসেবে, এটি গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে এবং সাসটেইনেবল ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস চালু করার জন্য স্বীকৃত—একটি লিগ্যাসি,যা আমরা গর্বের সঙ্গে বহন করি। কেজিএফের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি রিনিউএবল এনার্জি ব্যবহারের পথে।

২০১০ সালে কেজিএফে প্রথম সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। ধাপে ধাপে আমরা কালুরঘাটের সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১০৫ কিলোওয়াট আওয়ার (কেডাব্লিউএইচ) পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছি। যদিও আমরা আরও বড় লক্ষ্য নিয়েছিলাম, জমির স্বল্পতা ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, যা সোলার ক্যাপাসিটি দ্রুত বাড়ানোর পরিকল্পনায় বাধা সৃষ্টি করেছে। তবে, এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে আমরা নতুন ও উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে চলেছি।

একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি

সোলার প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের জন্য খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার নতুন দরজা। বাংলাদেশে নতুন প্রযুক্তির আগমনের সঙ্গে সঙ্গে, আমরা রিনিউএবল এনার্জির পরিধি বাড়ানোর নতুন উপায় খুঁজছি। এই লক্ষ্য অর্জনে, ডিসেম্বর ২০২৪-এ আমরা সিঙ্গাপুরভিত্তিক রিনিউএবল এনার্জি উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান, সোলারিক-এর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেছি। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে, সোলারিক কালুরঘাট ফ্যাক্টরিতে ৭৮৫ কিলোওয়াট আওয়ার (কেডাব্লিউএইচ) সোলার ক্যাপাসিটি যুক্ত করবে, যা আমাদের বর্তমান সক্ষমতার ৭ গুণ বেশি। এর ফলে শুধু আমাদের কার্বন নিঃসরণই কমবে না, বরং একটি পরিষ্কার পরিবেশের মাধ্যমে স্থানীয় কমিউনিটির জীবনেও আমরা উন্নতি আনতে পারবো।

টেকসই ভবিষ্যতের পথে

ইউনিলিভার বাংলাদেশ তার কার্যক্রম কার্বন নিঃসরণমুক্ত করতে এবং গ্রীন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এনার্জি সংরক্ষণ বাড়াতে আমরা উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি সংযোজন করছি এবং শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্যকরী পরিবর্তন এনেছি। সোলারিক-এর সঙ্গে নতুন পাওয়ার পারচেজ চুক্তি (Power Purchase Agreement) আমাদের এই প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করবে, যা আমাদের নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জনের পথে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এরই মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের জন্যও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবো।

Back to top