Skip to content

নকশিকাঁথার শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় আমাদের লক্ষ্যের জীবন্ত চিত্রায়ন

Published:

“সবার প্রতিদিনের জীবন আলোকিত ও উজ্জ্বল করা”—এই বৈশ্বিক উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে ইউনিলিভার বাংলাদেশ একটি বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথার শৈল্পিকতা। এই ক্যাম্পেইন শুধু ঐতিহ্য আর ব্র্যান্ডের সংযোগ নয়, বরং কমিউনিটির ক্ষমতায়ন, স্থানীয় শিল্পের উদযাপন এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার গল্প ।

নকশিকাঁথার শিল্পের মাধ্যমে “আমাদের ভালো থাকা একই সুতোয় গাঁথা”-র গল্প তুলে ধরা

ইউনিলিভারে আমাদের সামনে এগিয়ে যাবার পিছনে একটি বৈশ্বিক পারপাস রয়েছে: আমাদের কাজের মাধ্যমে সবার প্রতিদিনের জীবন আলোকিত ও উজ্জ্বল করা। আমাদের ব্র্যান্ড, মানুষ, ভ্যালুসমূহ এবং সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগ থেকে শুরু করে সকল কাজের মূল চালিকাশক্তি আর অনুপ্রেরণা হচ্ছে আমাদের এই পারপাস। আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের কনজিউমার সহ যাদের ভালোর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করি, তাদের জীবনের ছোট ছোট মুহুর্তগুলো যদি আরও একটু আলোকিত, আরও উপভোগ্য, সহজ আর সমৃদ্ধ করা যায়, তাহলেই আমরা বিশ্বজুড়ে তাদের জীবন প্রতিদিন আরও আলোকিত ও উজ্জ্বল করতে সফল হবো।

এই নতুন লক্ষ্যকে সামনে রেখে, বছরের শুরুতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু করে - যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে ইউনিলিভারের গ্লোবাল মিশনের মেলবন্ধন করা হয়। ক্যাম্পেইনটি গ্রামীণ জীবনের শতবছরের ঐতিহ্য নকশিকাঁথা থেকে অনুপ্রাণিত, যার প্রতিটি সেলাই একটি গল্প বলে, যেমন গল্প বলে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপই লাখো বাংলাদেশির জীবন উজ্জ্বল করার প্রয়াস নিয়ে।

প্রতিটি সুতোয় গাঁথা গল্প

আমাদের এই গল্প তুলে ধরার জন্য দেশজুড়ে নিবেদিত ৭৫ জন দক্ষ শিল্পীরা মিলে ২,০০০ এর বেশি নকশিকাঁথা প্যানেল সেলাই করেন। এই হাতে-সেলাই করা কারুকার্যগুলোই পরবর্তীতে একটি স্টপ-মোশন ভিডিওতে রুপান্তরিত করা হয়। প্রতিটি প্যানেল একসাথে মিলিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় ইউনিলিভার ও বাংলাদেশের মাঝে বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের গল্প- এই দেশের মানুষ, তার সংস্কৃতি, এবং প্রতিদিনের আনন্দের মুহূর্তগুলোর গল্প। ভিডিওটি ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ভিউ, ৯০০+ শেয়ার ও ৫০ লক্ষের মতো এনগেজমেন্ট লাভ করে - অর্থাৎ দেশজুড়ে এই ভিডিও অজস্র মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে।

প্রতিটি এমপ্লয়ীর হৃদয়ে আমাদের লক্ষ্যের তাৎপর্য ছড়ানো

এই ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতেই থেমে থাকেনি। ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রতিটি এমপ্লয়ীর জন্য এই গল্পকে বাস্তব অভিজ্ঞতায় রূপ দিতে চালু করা হয় একটি ইন্টারনাল ক্যাম্পেইন। নকশিকাঁথা শিল্পীদের শৈল্পিকতার সম্মানার্থে, ভিডিওতে ব্যবহৃত নকশিকাঁথা প্যানেলগুলো করপোরেট অফিসে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার, ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্য সহকর্মীরা। তাঁরা ঘুরে ঘুরে শিল্পীদের কাজ দেখেন এবং কাজের প্রশংসা করেন। আয়োজনের অংশ হিসেবে, অনুষ্ঠান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে তারা নিজ স্থান থেকে কীভাবে "সবার প্রতিদিনের জীবন আলোকিত ও উজ্জ্বল" করছেন, সেই নিয়ে কিছু কথা পারপাস বোর্ডে লেখার মাধ্যমে ব্যাক্ত করেন।

ইউবিএল-এর এমপ্লয়ীরা কর্পোরেট অফিসে ক্যাম্পেইন বুথে অংশ নিচ্ছেন

এক লক্ষ্য, ইতিবাচক প্রভাব নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ

ইউনিলিভারের পারপাস কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনের সাথে একই সুতোয় গাঁথা, এই ক্যাম্পেইন তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই লক্ষ্য শুধু সেরা মানের পণ্য নিশ্চিত নয় - এটা মানুষের সুস্থতা ও ভালো থাকাকে গুরুত্ব দেওয়ার, স্থানীয় ঐতিহ্যকে সম্মান করার, এবং প্রতিটি ঘর ও কমিউনিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার বিষয়। আমাদের জনপ্রিয় ২১টি ব্র্যান্ডের মাধ্যমে, ইউনিলিভার বাংলাদেশ মানুষকে আলোকিত ও উজ্জ্বল জীবনযাপন করতে ক্ষমতায়ন করছে, পাশাপাশি সর্বোচ্চ মানের পণ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতেও অটল রয়েছে।

Back to top