
ইউএফএলএল একটি স্বনামধন্য বৈশ্বিক বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিযোগিতা, যেটি মেধাবী তরুণদের ইউনিলিভার ও প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ব্যবসায়িক সংস্কৃতি ও কর্মীদের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের অভিনব সুযোগ প্রদান করে।
ইউএফএলএল প্রতিযোগিতার দুটি ধাপ রয়েছে- প্রথমে স্থানীয়ভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেমন বাংলাদেশে প্রতিযোগিতাটি ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ নামে পরিচিত। এরপর দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্বে বিভিন্ন দেশের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো মিলিত হয় ইউএফএলএল এর বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে। অংশগ্রহণকারীরা এতে ‘ইউনিলিভার লিডার’দের সাথে সমন্বয়, বাস্তবিক ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় সহ এই প্রক্রিয়ায় অতুলনীয় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। প্রতিযোগিতাটির লক্ষ্যণীয় বিষয়গুলো হচ্ছে- তরুণদের ক্ষমতায়ন ও এর মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক খাতকে আরো সমৃদ্ধ ও উন্নত বিশ্বের নির্মাণে কাজ করা।
এ বছর ইউএফএলএল প্রতিযোগিতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৪ হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়ে। সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করা দলগুলোর মধ্যে ‘টিম বাংলাদেশ’ তাদের মেধা ও অধ্যবসায়ের দৃষ্টান্ত রেখেছে। ইউনিলিভার এর ব্যবসা বিষয়ক প্রতিযোগিতা বিজমায়েস্ট্রোজ এর চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারীরা ফিউচার লিডার্স’ লিগ এর বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে।
স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের ১১৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে, বিজমায়েস্ট্রোজ ফাইনালিস্টরা একাধিক রাউন্ডে অংশ নেন ও প্রতিযোগিতাকে আরো আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলেন। তারা ম্যানেজারদের কাছ থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও ব্যবসায় সংক্রান্ত বাস্তব কেসগুলো সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং ইউনিলিভার এর লিডারদের কাছ থেকে মেন্টরশিপ গ্রহণ করেন। এই বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মটি থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেধার স্ফুরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেয়েছেন। ইউএফএলএল এর এই অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এর ঝুলিতে দুটো চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি এবং চারটি রানার্স-আপ ট্রফি যোগ হলো।
এই মর্যাদাপূর্ণ অর্জন উপলক্ষ্যে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার বলেন, “ইউএফএলএল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ তৃতীয় অবস্থান নিশ্চিত করায় প্রতিভাবান দলটিকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি আনন্দিত বোধ করছি। নিজেদের দক্ষতা ও প্রতিভার মাধ্যমে তারা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে গর্বের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারাই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। জাতীয় সমৃদ্ধিকে গতিশীল করতে তরুণদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাব্য সুযোগ কাজে লাগাতে তাদের উপযুক্ত দক্ষতা প্রদানও জরুরি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রতিশ্রুতিশীল অংশীদার হিসেবে আমরা সম্ভাবনাময় তারুণ্যকে উৎসাহ দিতে এবং তাদের দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরের এই যাত্রায় তাদের পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দশ লক্ষ তরুণকে ভবিষ্যৎ-বান্ধব দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করা। গত ১২ বছর ধরে আমরা আমাদের বিজমায়েস্ট্রোজ ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিসরে উপস্থাপনের এমন সব সুযোগ কাজে লাগাতে অন্যদেরও উৎসাহিত করছি।”