
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহী। তিনি ইউবিএল এর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর শামিমা আক্তার; ইউবিএল এর সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর রুহুল কুদ্দুস এবং ইউবিএল এর সাসটেইনেবিলিটি, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার সুমাইয়া তাবাসসুম আহমেদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ইউবিএল-এর প্লাস্টিক সার্কুলারিটি উদ্যোগটি উক্ত অনুষ্ঠানে প্রশংসিত হয়, কেননা এটি প্লাস্টিক বর্জ্যের জন্য একটি সার্কুলার মডেল তৈরি করা এবং মানুষের জীবিকা বৃদ্ধি ও এর সঙ্গে জনগণকে যুক্ত করার মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিক ভ্যালু চেইনকে উন্নত করেছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) এর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বৃহত্তম সরকারি-বেসরকারি-উন্নয়ন খাত প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের উদ্যোগ পরিচালনা করে আসছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২২ সাল থেকে ১০,০০০ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, এবং ২৮৫০ পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জীবিকার উন্নয়ন ঘটেছে। এ উদ্যোগ গ্রহণের শুরু থেকে শহরের ৪১টি ওয়ার্ড জুড়ে ১০ লাখেরও বেশি লোকের কাছে গিয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়েছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহ করেছে ইউবিএল।
ইউনিলিভারের ‘ইউনিলিভার কম্পাস’ শীর্ষক বৈশ্বিক টেকসই ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘ক্লাইমেট ট্রানজিশন অ্যাকশন প্ল্যান’ এর আওতায় কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ অ্যাকশন প্ল্যানটিতে এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ইউনিলিভার তাদের কার্যক্রমে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারে এবং ২০৩৯ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ভ্যালু চেইন জুড়ে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা একেবারেই শূন্য হয়। কোম্পানিটি পুরো কর্মপ্রক্রিয়ায় নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিক যাচ্ছে। নতুন লো-কার্বন উপাদান খুঁজে বের করার পাশাপাশি প্ল্যান্ট-বেজড পণ্যের পরিসর প্রসারিত করা এবং জীবাশ্ম-জ্বালানি-মুক্ত পরিষ্কার ও লন্ড্রি পণ্য উন্নয়নেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউনিলিভার বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ ভোক্তাদের ব্যবহৃত পণ্যের প্রভাব কমাতে কাজ করছে।