
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) ২০২৫ সালের ফিকি সাসটেইনেবিলিটি গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ডে ‘কমিউনিটি ইমপ্যাক্ট’ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২৪ সালে বাস্তবায়িত উন্নয়নমূলক কমিউনিটি উদ্যোগগুলোর জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এই স্বীকৃতি ইউবিএল-এর দায়িত্বশীল নেতৃত্ব ও বৃহৎ পরিসরে ইতিবাচক কমিউনিটি ইমপ্যাক্ট তৈরির প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে—যেখানে স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা, জীবনমান উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও পরিবেশের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সংকটকালে দ্রুত ইমার্জেন্সি রেসপন্সের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অর্থবহ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সময়োপযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রতি ইউনিলিভার বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ধারায় ইউনিলিভার বাংলাদেশের যাত্রা গড়ে উঠেছে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কাঠামোবদ্ধ মডেলের ওপর, যা মানুষের কাছে পৌঁছায় তাদের বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপটে। এর মধ্যে রয়েছে লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের মাধ্যমে জলবায়ু-প্রভাবিত চরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া, ভূমিজোর সহযোগিতায় স্যানিটেশন অবকাঠামো উন্নয়ন, চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভ্যালুচেইন সংস্কার, এবং জীবনমান উন্নয়ন ও খুচরা ব্যবসায় সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ১৩ লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও তিন হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জীবনমান উন্নয়নে আমরা সহযোগিতা করেছি। প্রতিটি উদ্যোগেই পারপাস ও পার্টনারশীপ একত্রে কাজ করছে, যাতে টেকসই ও ফলাফলনির্ভর পরিবর্তন সম্ভব হয়।
ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউনিলিভার বাংলাদেশ প্রতিদিন ২০টিরও বেশি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের মাধ্যমে লাখো মানুষের জীবনের অংশ হয়ে আছে। “সবার প্রতিদিনের জীবনকে আলোকিত ও উজ্জ্বল করা”—এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি দেশের নানা প্রান্তে কাজ করছে। এর কমিউনিটি উদ্যোগগুলো ইতোমধ্যে সারাদেশে ১২ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে এগিয়ে নিচ্ছে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, রুহুল কুদ্দুস খান বলেন, “ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রতিটি কার্যক্রমের মূলেই রয়েছে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। আমাদের গ্রোথ অ্যাকশন প্ল্যান (জিএপি) ২০৩০–এর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা চারটি মূল পিলার—জলবায়ু, প্রকৃতি, প্লাস্টিক ও জীবনমান উন্নয়ন—নিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “কমিউনিটি ইমপ্যাক্ট ক্যাটাগরিতে ফিকি সাসটেইনেবিলিটি গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড পাওয়া আমাদের দায়িত্ববোধ এবং টীম ও পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার স্বীকৃতি। আমরা এমন মডেল তৈরি করছি, যা বর্তমানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য আরও শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলবে। স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ পানির সুযোগ বাড়ানো থেকে শুরু করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সমাধান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে—ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিশ্বাস, প্রকৃত টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন অগ্রগতি সবার জীবনমানকে উন্নত করে। আমরা আমাদের পার্টনারদের সাথে মিলে এমন বাস্তব পরিবর্তন নিশ্চিত করতে চাই, যা হবে দীর্ঘস্থায়ী, বিস্তৃত এবং অর্থবহ।”
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল কুদ্দুস খান এবং করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর শামিমা আক্তার অনুষ্ঠানে ইউনিলিভার বাংলাদেশের পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
এই বছর এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ ‘মোস্ট সাসটেইনেবল কোম্পানি অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও কমিউনিটি উদ্যোগের জন্য আরও ছয়টি পুরস্কার অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।