Skip to content

আমরা ইউনিলিভার

১০০ বছরেরও বেশি ঐতিহ্য নিয়ে আমরা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কনজিউমার গুডস কোম্পানি। বিশ্বজুড়ে আমরা আমাদের সেরা ব্র্যান্ডগুলোর পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল উপায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিশ্বাস ও কৌশলের কারণে সুপরিচিত।

বৈশ্বিক বিস্তৃতি ও ফুটপ্রিন্ট

আরও তথ্যের জন্য বিনিয়োগকারী (ইনভেস্টর) পেজটি ভিজিট করুন

  • €৬০.৮ বিলিয়ন টার্নওভার ২০২৪ সালেযার ৫৮% এসেছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলি থেকে
  • €৯.৪ বিলিয়ন বিনিয়োগব্র্যান্ড ও মার্কেটিং এ

আইকনিক ব্র্যান্ড পোর্টফলিও

আরও জানতে আমাদের ব্র্যান্ডগুলি দেখুন

  • ৩.৪ বিলিয়ন মানুষপ্রতিদিন আমাদের পণ্য ব্যবহার করে
  • €৯.৪বিলিয়ন বিনিয়োগব্র্যান্ড ও মার্কেটিং এ

অনুপ্রাণিত মানবসম্পদ

আমাদের ক্যারিয়ার সাইট ভিজিট করুন

  • ৭৯% এনগেজমেন্ট স্কোর এমপ্লয়ী সার্ভেতে
  • ৮৭% এমপ্লয়ীইউনিলিভারে কাজ করে গর্বিত

ডিজিটাল টেকনোলজি নির্ভর অপারেশন

  • ৭টিবৈশ্বিক অপারেশনাল হাব আমাদের সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে
  • ২৪ মিলিয়ন বার্ষিক কাস্টমার অর্ডার পূরণ

উচ্চতর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইউনিলিভারে উদ্ভাবন সম্পর্কে আরও জানুন

  • €৯৮৭ মিলিয়ন বিনিয়োগগবেষণা ও উন্নয়নে
  • €১০০ মিলিয়ন দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগসুগন্ধি উৎপাদনে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পিত

ফোকাসড্‌ সাসটেইনেবিলিটি এজেন্ডা

সাসটেইনেবিলিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

  • ৭২% পরিপূর্ণ হ্রাস ২০১৫ সাল থেকে স্কোপ ১ এবং ২ গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ
  • ২.৫৮ মিলিয়ন এসএমই আমাদের রিটেইল ভ্যালু চেইনে ব্যবসা প্রবৃদ্ধির জন্য আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে

আমাদের লিডারশিপ

আমাদের লিডারশিপ টিম ব্যবসার স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ, কোম্পানি পরিচালনা ও আমাদের কর্মীদের নেতৃত্ব দেবার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্ট কমিটি সম্পর্কে এখন থেকে জানুন।

বাংলাদেশের সাথে বেড়ে ওঠা - ইউবিএলের পথচলা

ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) দেশের সবচেয়ে বড় ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সঙ্গে একসাথে এগিয়ে চলেছে। দেশের কোটি কোটি ভোক্তাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ইউবিএল। দেশের প্রতিটি ১০টি পরিবারের মধ্যে ৯টি পরিবার রিন, হুইল, লাক্স, লাইফবয়, গ্লো অ্যান্ড লাভলি, সানসিল্ক, পেপসোডেন্টের মতো জনপ্রিয় আমাদের ২১টি ব্র্যান্ড ব্যবহার করে থাকে।

আমাদের প্রত্যয় বা পারপাস হচ্ছে —‘সবার প্রতিদিনের জীবনকে আরও আলোকিত ও উজ্জ্বল করা’। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করি। ভোক্তাদের প্রয়োজনই আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দু। শ্রেষ্ঠ পারফরমেন্স নিশ্চিত করার পাশাপাশি, আমরা মার্কেট তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উচ্চমানসম্পন্ন ব্র্যান্ড বাজারজাতকরণের মাধ্যমে এগিয়ে চলছি।

কৌশলগত অগ্রযাত্রার পাশাপাশি আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ ও সাস্টেইনেবিলিটির নতুন যুগে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনেও দৃঢ়ভাবে প্রতিস্রুতিবদ্ধ। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি—আমাদের ভালো থাকা একই সুতোয় গাঁথা।

পথচলার শুরু

ইউবিএলের পথচলা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন আর সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯ শতকের শুরুর দিকে যখন পরিচ্ছন্নতা আর সুস্বাস্থ্যের অঙ্গীকার নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে উপমহাদেশে প্রথম আমাদের পণ্যবাহী জাহাজ এসে পৌঁছে , তখন থেকেই এই অঞ্চলের মানুষের ঘরে-ঘরে আমাদের ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো জায়গা করে নেওয়া শুরু করে। ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে একটি সাবান তৈরির ফ্যাক্টরি নির্মাণ শুরু করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে লাল-সবুজের এই দেশে ইউনিলিভারের পথচলা শুরু হয়। যুক্তরাজ্যে থেকে ইউনিলিভারের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭৩ সাল থেকে ব্যবসা পরিচালনায় বাংলাদেশ সরকারের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ইউবিএলের ৩৯.২৫% শেয়ারের মালিকানা দেশের জনগণের।

নতুন নতুন পণ্য নিয়ে দেশজুড়ে বিকাশ আর বিস্তৃতি

চট্টগ্রামের মাত্র একজন ডিস্ট্রিবিউটর (পরিবেশক) নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ইউনিলিভার সত্তরের দশক শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশের সকল জেলায় পৌঁছে যায়। সাবান ব্যবসায় সাফল্যের পথ ধরে ইউবিএল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উদ্ভূত বিভিন্ন নতুন চাহিদা মেটাতে হেয়ার কেয়ার, হোমকেয়ার ও স্কিন কেয়ারের মতো নতুন ক্যাটাগরির পণ্য নিয়ে আসে। ইউনিলিভার বাংলাদেশ দেশে পার্সোনাল প্রোডাক্ট (পিপি) ফ্যাক্টরি স্থাপন করে, যার মাধ্যমে বেশিরভাগ পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট, যেমন শ্যাম্পু, টুথপেস্ট ইত্যাদি, যা আগে আমদানি করা হতো, সেসব পণ্য দেশেই উৎপাদিত হতে থাকে। বর্তমানে আমাদের পণ্যের স্থানীয় চাহিদার ৯৬% পণ্য দেশেই উৎপাদিত হয়।

বর্তমানে ইউবিএল প্রায় ১৩ লক্ষ রিটেইল আউটলেটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ দেশের সব জায়গায় সাফল্যের সাথে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।

গ্রোথ অ্যাকশন প্লান ২০৩০

সকলের প্রতিদিনের জীবন আরও আলোকিত ও উজ্জ্বল করাই আমাদের পারপাস।

আমরা বিশ্বাস করি যে আগামীতে সেই সকল ব্যবসাই এগিয়ে থাকবে যারা বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তনগুলো ধারণ ও আগে থেকে অনুধাবন করতে পারবে ও সেগুলোর চাহিদা অনুসারে সাড়া দিতে পারবে।

আমরা আরও নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি সাস্টাইনেবলিটি বা টেকসই উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্ব দেবার এখনই সঠিক সময়। আমরা চারটি মূল বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের সাস্টাইনেবিলিটি প্রচেষ্টার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি যেখানে আমরা সর্বোচ্চ ইমপ্যাক্ট রাখতে পারবঃ জলবায়ু, পরিবেশ, প্লাস্টিক ও জীবনমান উন্নয়ন।

কাজের ক্ষেত্র ও পরিসরঃ

আমরা আমাদের ব্যবসায়িক মডেলের মাধ্যমে ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করব। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ স্তরের সমান্তরাল আর্থিক ফলাফল ও সক্ষমতা প্রদর্শন করা।

  • আমরা একটি ধারাবাহিক, উচ্চ প্রবৃদ্ধির পোর্টফলিও গড়ে তুলবো
  • আমাদের ব্র্যান্ডের আনমিসেবল সুপেরিওরিটির মাধ্যমে মার্কেটে এগিয়ে থাকব এবং বিজয়ী হব
  • মূল মার্কেট ও ক্যাটাগরিগুলোতে আমরা প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করবো
  • আমরা মূল বিক্রয় চ্যানেলগুলিতে নেতৃত্ব নিশ্চিত করবো

ব্যবসায়িক কৌশল

আমাদের ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ রূপে দৃশ্যমান ও তরান্বিত করতে আমরা গ্রোথ অ্যাকশন প্ল্যান ২০৩০ প্রণয়ন করেছি। এটি দ্রুত প্রবৃদ্ধি, কার্যকারিতা ও সরলীকরণ, এবং আমাদের পারফরমেন্স কালচারকে আরও উন্নত করার একটি রূপরেখা।

আমাদের ফোকাস হবে:

  • ৪ বিজনেস গ্রুপ
  • পাওয়ার ব্র্যান্ড
  • টপ মার্কেট

ব্যবসার প্রতিযোগিতা ও নতুন মার্কেট সৃষ্টি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের কৌশল হবে:

  • আনমিসেবল ব্র্যান্ড সুপেরিওরিটি
  • মাল্টি ইয়ার, স্কেলেবল উদ্ভাবন
  • প্রিমিয়ামাইজেশন
  • সোশ্যাল ফার্স্ট ডিম্যান্ড জেনারেশন
  • গ্রোথ চ্যানেল

দ্রুতভাবে পরিবর্তনশীল বিশ্বের জন্য আমরা যে ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষতা বৃদ্ধি করবো:

  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • লীন, এজাইল সাপ্লাই চেইন
  • নেট প্রোডাক্টিভিটি
  • স্কেলেড এআই

সাস্টেইনেবিলিটির পরবর্তী যুগে আমাদের অগ্রণী ভুমিকা:

  • জলবায়ু
  • পরিবেশ
  • প্লাস্টিক
  • জীবনমান উন্নয়ন

আমাদের উইনিং কালচার:

  • ভ্যালু
  • পিপল
  • বিহেভিয়ার

সকলের প্রতিদিনের জীবন আরও আলোকিত ও উজ্জ্বল করা

ভোক্তাদেরকে প্রয়োজনকে কেন্দ্র করেই এসেছে আমাদের প্রত্যয় বা পারপাস, যা হচ্ছে - সবার প্রতিদিনের জীবন আরও আলোকিত ও উজ্জ্বল করা। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা টেকসই উন্নয়নের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ২০১০ সালে ‘ইউনিলিভার সাসটেইনেবল লিভিং প্ল্যান ’ প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের সাসটেইনেবিলিটি কার্যক্রম প্রথম একটি কাঠামোবদ্ধ রূপ পায় এবং ২০২০ সালে তা রূপান্তরিত হয় ‘দা ইউনিলিভার কম্পাস’-এ। এরপর ২০২৩ সালে নতুন স্ট্র্যাটেজি হিসেবে আমরা ‘গ্রোথ অ্যাকশন প্ল্যান (গ্যাপ) ২০৩০ প্রকাশ করি, ’, যেটার মাধ্যমে আমরা তিনটি মূল বিষয়কে সামনে রেখে এগোচ্ছি, যেগুলো হচ্ছে হাই কোয়ালিটি প্রবৃদ্ধি অর্জন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সহজীকরণ, এবং পারফরমেন্স-কেন্দ্রিক কালচার গড়ে তোলা।

আমাদের ব্র্যান্ডগুলো ভবিষ্যতের মার্কেট সৃষ্টি ও পরিবর্তনশীল ভোক্তা প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য আগাম প্রস্তুতিতে নিবেদিত। পাশাপাশি, আমরা আমাদের সহকর্মীদের পেশাগত উৎকর্ষ ও বিকাশে বিনিয়োগ করি এবং একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কালচার নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালাই—যা আমাদের সাফল্যের অন্যতম চালিকাশক্তি। আমাদের এমপ্লয়ীরা ভবিষ্যৎ গড়ে মার্কেটে বিজয়ী হতে প্রতিস্রুতিবদ্ধ, যেন সবার প্রতিদিনের জীবন হয়ে উঠে আর একটু আলোকিত ও উজ্জ্বল, তারা আরও চেষ্টা করে যাতে যাতে সেই উজ্জ্বলতা যেন পুরো বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়ে।

টেকসই ভবিষ্যতের প্রত্যয়

আমরা বিশ্বাস করি যে এখনই ‘গ্রোথ একশ্যান প্লান ২০৩০’ বাস্তবায়নের উপযুক্ত সময়। এই কৌশল সরাসরি পরিবেশগত ও সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করে। আগামী বছরগুলোতে আমাদের মূল ফোকাস থাকবে টেকসই অগ্রগতির চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে, যেখানে আমরা মূল ভুমিকা পালন করতে পারবো: জলবায়ু, পরিবেশ, প্লাস্টিক, জীবনযাত্রা।

বাংলাদেশে সাসটেইনেবল ম্যানুফ্যাকচারিং এর পথিকৃৎ হিসেবে ইউবিএল ধারাবাহিকভাবে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করছে এবং আমরা যতটুকু প্লাস্টিক ব্যবহার করি, তার থেকেও বেশি প্লাস্টিক সংগ্রহ ও প্রসেস করছি। আমাদের আরও একটি লক্ষ্য হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন ও কিছু পার্টনার প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন শহরে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসে ভুমিকা রাখা। এই প্রতিশ্রুতি পূরণে আমরা ২০২৩ সাল থেকে আমাদের পণ্যের প্যাকেজিং এ যে পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে, তার থেকে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ থেকে সংগ্রহ ও প্রসেস নিশ্চিত করছি। ২০২০ সাল থেকে আমাদের নেওয়া টেকসই উদ্যোগগুলি বাংলাদেশের ১০ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনে অবদান রেখেছে এবং এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গর্বিত সহযোগী হিসেবে দেশের মানুষের জন্য আমরা অবদান রাখছি।

আমাদের স্ট্র্যাটেজি ও গ্রোথ অ্যাকশন প্ল্যানের পিডিএফ ডাউনলোড করুন (PDF 106.8 KB)

Back to top