Skip to content

স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা

স্বাস্থ্য ও সুস্থতার সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি

আমরা বিশ্বাস করি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং সকলের অন্তর্ভুক্তি সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের সকলের এই উপলব্ধি আরও নিশ্চিত হয়েছে যখন আমাদের সামাজিক যোগাযোগ এবং সুস্থতার পথে কোভিড-১৯ একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে এসে দাঁড়ায়।

আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো

আমাদের ইউনিলিভার কম্পাস স্ট্রাটেজির মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বের ১৩০ কোটি বেশি মানুষের কাছে সুস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধি উন্নয়ন সম্পর্কিত আমাদের কার্যক্রমগুলো পৌঁছে দিয়েছি- আমরা প্রমাণ করেছি, মানুষের কাছে ভালো কাজ পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা কতদূর যেতে পারি। আমাদের বিস্তৃত পরিসর, এবং আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও উন্নত ও সৃষ্টিশীল কার্যক্রম এবং পার্টনারশিপ তৈরী করছি।

ঘর, স্কুল বা কর্মক্ষেত্র সব জায়গাতেই হাত ধোয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গঠনের উদ্দেশ্যে আমরা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি দীর্ঘদিন ধরে। একইসাথে, স্বাস্থ্যকর ও আত্মবিশ্বাসী জীবনযাপনের জন্য নিজের যত্নে দাঁত মাজার গুরুত্ব আমরা সর্বদা প্রচার করে যাচ্ছি (পৃথিবী জুড়ে ৩.৯ বিলিয়ন মানুষের দাঁতের ক্ষয় রোধে আমরা সাহায্য করেছি)। সামগ্রিকভাবে আমরা আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে, বিশেষ করে নারীদের সুস্থ থাকতে, আত্মমর্যাদা নিয়ে বিকশিত হতে এবং দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছি।

বাংলাদেশে সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতা অর্জনে আমাদের লক্ষ্য

আমাদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে দেশজুড়ে লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি, সুস্থতা এবং অভ্যাস বা আচরণ পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে যে বিষয়ে বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছিঃ

  • হাতধোয়া
  • স্যানিটেশন
  • মুখ ও দাঁতের যত্ন
  • আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান / আত্মমর্যাদা

বাংলাদেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনে আমাদের অঙ্গীকার

আমরা বিশ্বাস করি যে, একটি সমাজ যতো অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে, ততো বেশি সমাজের সকলের সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করা যাবে। ১৯২০ এর দশকে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস প্রচারের মাধ্যমে ইউনিলিভার সবার সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাস নিশ্চিত করার প্রত্যয় প্রকাশ করেছিল।

কোভিড ১৯ মহামারির সময় ইউনিলিভার বাংলাদেশ শুধু একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়, বরং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, হাসপাতাল, অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে একত্র হয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও সুস্থতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করেছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকে আমরা প্রায় ১০ কোটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে সক্ষম হয়েছি।

আমাদের ভোক্তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং সুস্বাস্থ্য অর্জনের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা দীর্ঘদিনের। বিগত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের হাতধোয়া এবং দাঁত মাজার মতো ব্যক্তিগত পরিচর্যার বিষয়গুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে আমরা সচেতনতামূলক ও অভ্যাস পরিবর্তনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

টয়লেট ব্যবহারে ইতিবাচক পরিবর্তনের পাশপাশি আমরা প্রান্তিক মানুষের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন অংশীদারদের সাথে কাজ করছি। পাশাপাশি আমরা আমাদের ব্র্যান্ড ক্যাম্পেইন এবং কার্যক্রমগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশী তরুণীদের দক্ষ আর আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করে চলেছি। সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদের ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ব্যবহার করে এবং সময়োপযোগী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সুস্থ ও আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

দায়িত্বশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ভোক্তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা। এই জন্যই আমরা স্বাস্থ্যবিধি, মানসিক সুস্বাস্থ্য, আত্মসম্মান এবং নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশনের মতো বিষয়ে কাজ করে চলেছি। প্রতি বছর আমরা লাইফবয়, পেপসোডেন্ট, ডোমেক্স এবং ডাভ এর মতো শক্তিশালী ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টিতে বড় পরিসরে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে থাকি। এইসব কার্যক্রম শুধু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সচেতনতা সৃষ্টি করে না, বরং এই কার্যক্রমগুলো ব্যক্তিপর্যায়ে অভ্যাস পরিবর্তন ও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতেও অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের বিশ্বাস মানুষকে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তনে এগিয়ে নিলে
পৃথিবী সকলের জন্য বাসযোগ্য আর আরও সুন্দর হবে।

‘হ’ তে হাতধোয়া

ইউনিসেফ এর গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে ৩ জন মানুষ সাবান এবং নিরাপদ পানির মতো প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে বঞ্চিত। সাবান এবং নিরাপদ পানির অপ্রতুলতা ডায়েরিয়া এবং নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পরার প্রধান কারণ, যে রোগগুলো বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি শিশু আর নবজাতকদের মৃত্যুর কারণ।

প্রতিবছর ৭৮০,০০০ সংখ্যক পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ডায়েরিয়াতে এবং ৪৪৪,০০০ শিশু নিউমোনিয়াতে মৃত্যুবরণ করে। এই বিশাল সংখ্যক শিশুমৃত্যু শুধুমাত্র সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধোয়ার মতো খুব সাধারণ আর সহজ অভ্যাসের মাধ্যমেই প্রতিরোধযোগ্য। শিশুমৃত্যুর এই ভয়াবহ হার হ্রাস করতে আমাদের সবার জন্য সাবান এবং নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে হবে।

হাত ধোয়ার এই অভ্যাস তৈরি করা আমাদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড লাইফবয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সফল কর্মসূচি। ১৯৯০ এর দশক থেকে শুরু হওয়া আমাদের এই হাত ধোয়ার অভ্যাস পরিবর্তন কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ স্কুলগামী শিশুদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। ২০১১ সাল থেকে আমাদের এই কার্যক্রমটি লাইফবয় স্কুল অফ ফাইভ নামে ১.২ কোটিরও বেশি স্কুলশিশুর অভ্যাস পরিবর্তনে সাহায্য করেছে। গবেষণার মাধ্যমে ডিজাইন করা আমাদের এই ২১ দিনের এই কার্যক্রমটি স্কুলে সঠিক নিয়মে বাচ্চাদের হাত ধোয়া শেখানো ও অভ্যাস তৈরি করার মাধ্যমে একটি বড় জনগোষ্ঠীর মাঝে হাত ধোয়ার ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলেছে।

হাতধোয়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাথে একসাথে কাজ করেছি। ২০২০ সালের গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে- তে নীতিনির্ধারক এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতায় আর সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা এবং অংশগ্রহণে আমরা নতুন করে 'এইচ ফর হ্যান্ডওয়াশিং' (হ-তে হাত ধোয়া) কার্যক্রম চালু করেছি।

এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ২টি- নীতিনির্ধারদের সাথে কাজ করে হাত ধোয়াকে স্কুলের পাঠ্যসূচিকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং আরও বেশি মানুষকে সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করা। রোগবালাই ছড়িয়ে পরা প্রতিরোধ করতে এবং 'এইচ ফর হ্যান্ডওয়াশিং' কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে লাইফবয় ডিজিটাল পিটিশন সাইটও তৈরি করেছে। সেখানে প্রতিটি স্বাক্ষরের বিপরীতে লাইফবয় ৫ জন স্কুলশিশুকে হাত ধোয়া শেখানোর শপথ নিয়েছে।

১৯৯০ এর দশকে শুরু করা আমাদের এই হাত ধোয়ার সাধারণ কার্যক্রম যে বর্তমানে মানুষের হাত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা এবং নিরাপদ স্বাস্থাভ্যাস গড়ে তোলার একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে আমরা গর্বিত। লাইফবয় শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করার মাধ্যমে শিখিয়েছে তারা কীভাবে নিজেদের, নিজেদের পরিবার এবং সমাজকে সুস্থ রাখতে পারে।

পরিষ্কার স্যানিটেশন ও উন্নত পরিচ্ছন্নতা

সুপেয়, নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে। ২০১৮ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৪.৮% এর কাছে নিজের বাড়িতে সাবান এবং পানি ব্যবহার করে হাত ধোয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা বিগত বছরগুলো থেকে অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে সরকার ওয়াটার, স্যানিটেশন এন্ড হাইজিন (ওয়াশ) ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবুও বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ এবং ওয়াশ সেবাগুলোর উন্নয়নে বাংলাদেশকে এখনও বেশ অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

আমরা বিশ্বাস করি সুস্বাস্থ্য এবং নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। লাখ লাখ মানুষের জন্য পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা অস্বাস্থ্যকর এবং অনিরাপদ স্যানিটেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছি।

আমরা জানি, সবাই একসাথে কাজ করলে স্যানিটেশন ব্যবস্থার একটি ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব। ডোম্যাক্সের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে নিয়ে লক্ষ্য আরও প্রসারিত আমাদের সমাজের সকলের জন্য স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে কাজ করছি। জাতিসংঘের ৬নং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) সাথে সামঞ্জস্য রেখে সকলের জন্য উপযুক্ত এবং নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়তে ডোম্যাক্স কাজ করছে।

দেশজুড়ে স্কুলগুলোর স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০১৯ সালে আমরা ২০০টি স্কুলে ১৪,০০০ টয়লেট পরিষ্কারক পণ্য পৌঁছে দিয়েছি। ‘নো মোর ডার্টি টয়লেট’ কার্যক্রম স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পর্কে স্কুলগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেছে এই শিক্ষা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে। একইসাথে, জনগণকে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে নিজেদের টয়লেট পরিষ্কার রাখতে।

জাতির জন্য সুস্থ হাসি

যদিও মুখ ও দাঁতের যত্ন সব বয়সী মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউএইচও) এর মতে, সারাবিশ্বে প্রতি ২ জনে ১ জন মানুষ মুখ বা দাঁতের রোগে আক্রান্ত। এর চেয়েও বেশি শঙ্কার বিষয় হচ্ছে যে, একবিংশ শতাব্দীতেও দাঁতের ক্ষয়রোগ শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী দীর্ঘস্থায়ী রোগ। মুখের অসুস্থতা শুধু সুস্থ হাসিকেই প্রভাবিত করে না বরং অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি এবং আত্মসম্মান হানি করে।

আমাদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড পেপসোডেন্টের উদ্দেশ্য মুখের সকল রোগের অবসান করে সবার মুখে সুস্থ হাসি ফুটিয়ে তোলা। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষা, সচেতনতা এবং মানসম্মত দাঁতের যত্নের মাধ্যমে এটি অর্জন করা সম্ভব। মুখ স্বাস্থ্যকর রাখতে ডেন্টিবাস নামক যুগান্তকারী সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের দিনে এবং রাতে দুইবার ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজার অভ্যাস তৈরিতে পেপসোডেন্টের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। ডেন্টিবাস একটি মোবাইল বা চলন্ত ডেন্টিস্ট এর ক্লিনিক যা প্রতিবছর দেশের স্কুলগুলোতে গিয়েছিল। আমাদের এই কার্যক্রমে দেশের দাঁতের চিকিৎসকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং বাংলাদেশের মানুষের মুখ স্বাস্থ্যকর রাখতে তাদের কাজে সহযোগিতা করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই, সাধারণ মানুষের সাথে দাঁতের চিকিৎসকদের যোগাযোগ সহজতর করতে আমরা কাজ করছি।

আত্মবিশ্বাসই সৌন্দর্য

সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশসহ নানা বিষয় মানুষের সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। সৌন্দর্য এবং আত্মবিশ্বাস একে অপরের পরিপূরক। বৈশ্বিকভাবে ৫০ শতাংশের বেশি নারী নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে নিজে আত্মবিশ্বাসী নয়।

মেয়েরা বা নারীরা যখন নিজেদের সুন্দর মনে করে না, তখন তারা তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে সরে আসে এবং তার পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে না। এভাবে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন মেয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারে না এবং ৮ জন মেয়ে নিজের পরিবার ও বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করা থেকে বিরত থাকে। এটি শুধু তাদের নিজেদের জন্যই ক্ষতিকর নয় আমাদের সমাজও বঞ্চিত হয় ভবিষ্যতের সফল নারীদের থেকে।

এই সব সমস্যার মোকাবেলা করতে ২০৩০ সালের মধ্যে ডাভ সেলফ এস্টিম প্রজেক্ট (ডিএসইপি) আন্তর্জাতিকভাবে পৌঁছে যাবে সারা বিশ্বের ২৫ কোটি তরুণ-তরুণীর কাছে। ডাভ সেলফ এস্টিম প্রজেক্ট শিক্ষা উপকরণ, অংশীদারিত্ব এবং নিজের উদ্যোগের মাধ্যমে ১৫২টি দেশের মানুষকে সহযোগিতা করবে। ডাভ এর উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে তরুণ-তরুণীদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা এবং তাদের নিজেদের শারীরিক গঠনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী করা, যেন তারা ভবিষ্যতে ইতিবাচক সম্পর্ক গঠন এবং নিজেদের পূর্ণ সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারে।

বাংলাদেশ তারুণ্যে সমৃদ্ধ কারণ এর মোট জনসংখ্যার ৩৬% জনগণের এর বয়স ১৭ বছরের কম। সামনের দশকগুলোতে এরা বিশাল সংখ্যায় কাজে যোগদানের মাধ্যমে ভিশন ২০৪১ এর মতো জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই শিশুদের সুস্থতা নিশ্চিত করা, আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা এবং অধিকার বজায় রাখা আমাদের জন্য জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ইকো-সোশ্যাল ডেভলপম্যান্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) এবং টিচ ফর বাংলাদেশ (টিএফবি) এর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইউবিএল ডাভ এই উদ্দেশ্যেই সেলফ এস্টিম প্রজেক্ট (ডিএসইপি) বাস্তবায়ন করেছে। ১১ই অক্টোবর ২০২১ সালে "আন্তর্জাতিক মেয়েশিশু দিবস" এ এই কার্যক্রমটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।এই কার্যক্রমের আওতায় তরুণ-তরুণী ছাড়াও শিক্ষক, অবিভাবক এবং তরুণ নেতৃত্বকে শিশুদের আত্মসম্মানবোধ এবং শারীরিক গঠন নিয়ে আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে সচেতন করাই আমাদের লক্ষ্য।

আমাদের অবস্থান

২০৩০ সালের মধ্যে ইউনিভার্সাল হেলথকেয়ার কাভারেজ অর্জন করতে দেশজুড়ে জনসংখ্যা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পুষ্টিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবুও মানুষের গড় আয়ু ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং ব্যবহারে পরিবর্তন আনতে আরও সাশ্রয়ী সমাধানের প্রয়োজন। মানুষকে স্বাস্থ্যসচেতন করতে, তথ্য আরও সহজলভ্য করতে, উদ্ভাবনী মডেল ব্যবহার করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে, সাশ্রয়ী সমাধান দিতে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে আমরা বিনিয়োগ এবং কাজ করে যাব।

Back to top